বিষয়বস্তুতে চলুন

ওকাপি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

ওকাপি
ডিজনি দে বিচরনকারী একটি ওকাপি
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: প্রাণী জগৎ
পর্ব: কর্ডাটা
শ্রেণী: স্তন্যপায়ী
বর্গ: Artiodactyla
পরিবার: Giraffidae
গণ: Okapia
Lankester, 1901
প্রজাতি: O. johnstoni
দ্বিপদী নাম
Okapia johnstoni
(P.L. Sclater, 1901)
ওকাপির বিস্তার

ওকাপি (Okapia johnstoni; উচ্চরণ: /oʊˈkɑːpɪ/) একধরনের তৃণভোজী প্রাণী। এই প্রাণী আফ্রিকার বাইরে পাওয়া যায় না। এই প্রাণী গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গো দেশের জাতীয় প্রাণী

নামকরণ

[সম্পাদনা]

আকৃতিগত ভাবে জিরাফের সঙ্গে ওকাপির বেশি মিল নেই। তবুও, বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিতে বিচার-বিশ্লেষণ করে, বর্তমানে একে জিরাফ পরিবারের-ই অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, এবং বিজ্ঞান সম্মত নাম দেওয়া হয়েছে ওকাপিয়া জনস্টনি (Okapia Johnstoni)। স্থানীয় নাম ওকাপির সঙ্গে আবিষ্কারক জনস্টনের নামটা জুড়ে দিয়ে নামকরণ করা হয়েছে।

এই প্রাণীর আকৃতি কিছুটা জিরাফের মত। তবে আকার অনেক ছোট। এর গায়ের রং বাদামী। এর লেজের কাছে ও পেছনের পায়ে সাদা কালো ডোরা কাটা দাগ আছে।[] এজন্য আগেকার দিনে একে জেব্রার সগোত্র বলেই মনে করা হত। দেহের তুলনায় গলাটা এদের বেশ লম্বা, যদিও জিরাফের মতো অতটা লম্বা নয়। এর মাথার গড়নও অনেকটা জিরাফের মতো। শুধু তাই নয়, পুরুষ ওকাপির মাথার উপরে জিরাফের তথাকথিত দুটো শিঙের মতো ১.৫ সে.মি উপবৃদ্ধি দেখা যায়। মাথায় দুটো বড়ো বড়ো কান, এজন্য এর শ্রবণ শক্তি অত্যন্ত প্রখর।

খাদ্য গ্রহণ

[সম্পাদনা]

ওকাপি জোড়খুর বিশিষ্ট তৃণভোজী রোমন্থক প্রাণী। এর সবল জিভ বেশ লম্বা। অনেকটা জিরাফের মতো। এজন্য সে গলা বাড়িয়ে, মগডালের কচি কচি পাতাসহ ছোট ছোট শাখা-প্রশাখা, জিভের সাহায্যে জড়িয়ে ধরে মুখের মধ্যে টেনে নেয়, যেমনটি করে থাকে জিরাফ। প্রথমে গরুর মতো গপ গপ করে গিলে খায়। তারপর অবসর সময়ে বসে জাবর কাটে।

বাসস্থান

[সম্পাদনা]

ওকাপি সাধারণত জোড় বেঁধে নতুবা একাকী বনের মধ্যে বিচরণ করে, এবং গাছের মগডালের কচি কচি পাতা খেয়ে জীবনধারণ করে। এদের ঘ্রাণশক্তি এবং শ্রবণশক্তি অত্যন্ত প্রখর। বড় বড় কান-ই তার প্রকৃষ্ট প্রমাণ। এরা বেশ সচেতন এবং সতর্ক, সামান্য বিপদের সম্ভাবনা দেখলেই গাছপালা ও লতাগুল্মোর মধ্য দিয়ে অবিশ্বাস্য দ্রুতগতিতে পালিয়ে যায়।[]

বর্তমান অবস্থা

[সম্পাদনা]

ওয়ার্ল্ড কনজারভেশন ইউনিয়ন (আইইউসিএন) সম্প্রতি হুমকির তালিকায় থাকা প্রাণীদের নাম প্রকাশ করেছে৷ সেখানে দেখা যাচ্ছে, কঙ্গোর উত্তর-পূর্বাঞ্চলে থাকা এই ওকাপির সংখ্যা নব্বইয়ের দশকে ছিল ৪,৪০০৷ দশ বছর পর এই সংখ্যা দাঁড়ায় ২,৫০০ তে৷[] কঙ্গোর সহিংসতা এবং খনি ব্যবসাকে এ জন্য দায়ী করা হচ্ছে৷

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. IUCN SSC Antelope Specialist Group (2008). Okapia johnstoni. 2008 IUCN Red List of Threatened Species. IUCN 2008. Retrieved on 10 April 2009. Database entry includes a brief justification of why this species is of near threatened.
  2. "ওকাপি আসলে কোন প্রাণী"। আমার দেশ পাবলিকেশন্স লিঃ। ২১ মার্চ ২০১২। ৬ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ডিসেম্বর ২০১৫ 
  3. "ওকাপি"। anandamela। ৫ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ডিসেম্বর ২০১৫ 
  4. ফ্রাকজেক, জেনিফার (07.12.2013)। "হুমকির মুখে যেসব প্রাণী"। ডিডাব্লিউ.ডিই।  একের অধিক |লেখক= এবং |শেষাংশ= উল্লেখ করা হয়েছে (সাহায্য); এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)